শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:০৮ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
মধুমাস জ্যৈষ্ঠের অন্যতম রসালো ফল লিচু। কিন্তু রাজশাহীর বাজারে অসময়ে দেখা মিলছে রসালো ফল লিচু। বেশি দামের আশায় সামান্য রঙ আসতেই গাছ থেকে লিচু পাড়তে শুরু করেছেন কিছু ব্যবসায়ী। দামও বেশ চড়া। এসব লিচুর আকার ও স্বাদ নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। আর এখনই লিচু না কেনার পরামর্শ দিচ্ছেন রাজশাহী ফল গবেষণাকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা। তারা জানিয়েছেন, কেমিক্যাল না দিলে এখন লিচু পাকবে না। রোববার মহানগরীর সাহেববাজার ও কোর্টবাজার ধুরে দেখা যায়, খুচরা ব্যবসায়ীরা ১০০টি লিচুর দাম হাঁকছেন ৩০০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। লিচুগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে, পুষ্ট হয়নি। সামান্য রঙ এসেছে। ব্যবসায়ীরাও টকমিষ্টি লিচু বলেই বিক্রি করছেন। লিচু ব্যবসায়ী আকবর আলী জানান, তিনি লিচুগুলো শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যানের গাছ থেকে কিনে এনেছেন। লিচুগুলোতে রং এসেছে। খাওয়া যাবে। কিন্তু খেতে টক হবে। মিষ্টি হবে না।
আরেক ব্যবসায়ী কামাল হোসেন জানান, তিনি নগরীর মতিহার থানার মির্জাপুর এলাকার একটি বাগান থেকে লিচু কিনে এনেছেন। লিচুগুলো টকমিষ্টি। আর নতুন, তাই দাম একটু বেশি। এদিকে রাজশাহী ফল গবেষণাকেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সবার আগে বারি-১ লিচু পাকে। তবে এখনো এই লিচু পরিপক্ব হওয়ার সময় হয়নি। মে মাসের মাঝামাঝি থেকে লিচু বাজারজাত করার মতো হবে। এখন লিচু পাকবে না। বাজারে যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো হতে পারে। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। শুধু লিচুই নয়; সাহেববাজারের দু’একজন দোকানি পাকা আমও বিক্রি করছেন। ওইসব ফল পুষ্টই হয়নি।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ রাজশাহীর কর্মকর্তা শাকিল আহম্মেদ বলেন, এখন তো অগ্রিম লিচুও পাকবে না। কেউ অপরিপক্ব লিচুকে কেমিক্যাল দিয়ে পাকিয়ে বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।